ফেনী জেলার সাত মঠ

0
668

ফেনীর ভূখণ্ডকে পণ্ডিতেরা প্রাচীন বলে আখ্যা দিয়েছেন। এখানকার ছাগলনাইয়া উপজেলার শিলুয়া গ্রামে এক প্রাচীন ঐতিহাসিক শিলামূর্তির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে; যা প্রমান করে, এখানে হয়ত বৌদ্ধ ধর্ম কৃষ্টির বিকাশ ঘটেছিল। তাছাড়া এখানে বেশ কয়েকটি পুরাকীর্তি স্থাপনাও রয়েছে। এর মধ্যে সাত মঠ অন্যতম।সাত মঠ ফেনী (shat moth feni) জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার একটি প্রাচীন মঠ। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা।

সাত মঠ ফেনী (shat moth feni) জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলা শহরের পশ্চিমে বাঁশপাড়ায় অবস্থিত একটি প্রাচীন মঠ। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। এটি বাংলাদেশের একমাত্র সাত মঠ। বাংলাদেশের আর কোথাও একসঙ্গে এতো অধিক সংখ্যক মন্দির নেই। প্রতিটি মন্দিরের গায়ে অপূর্ব দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যময়। প্রতিটি মন্দিরের চূড়া একটি অন্যটির থেকে ভিন্ন।

ছাগলনাইয়ার হিন্দু জমিদার বিনোদ বিহারির বাড়িটি আট একর জায়গাজুড়ে নির্মিত। বর্তমান উপজেলা শহরের বাঁশপাড়ায় এর অবস্থান। বাড়ির পাশে রয়েছে সাতটি চিতা মন্দির। এজন্য এর নাম সাত মন্দির বাড়ি বা রাজবাড়ি বা সাত মঠ হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। ১৯৪৮ সালের দিকে জমিদার বিনোদ বিহারি কলকাতা চলে যান। বাড়িটি রেখেই তিনি চলে যান। বর্তমানে স্থানীয় বাসিন্দারা এখানে বসবাস করেন। এটি ফেনী জেলার প্রাচীন একটি মন্দির বা মঠ।

যেভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে ট্রেনে বাসে ফেনী যাওয়া যায়। ট্রেনে যেতে চাইলে চট্টগ্রামগামী রাতের শেষ ট্রেন তূর্ণা নিশিথায় যেতে পারেন। রাত সাড়ে ১১টায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া তূর্ণা নিশিথায় ফেনী পৌঁছে সাড়ে চারটায়। ভাড়া ২৬৫ টাকা।

আবার কম খরচে চট্টগ্রাম মেইলে যেতে পারেন। ভাড়া পড়বে মাত্র ৯০ টাকা। চট্টগ্রাম মেইল কমলাপুর থেকে ছাড়ে রাত সাড়ে দশটায়। সাত ঘণ্টা লাগবে ফেনী পৌঁছাতে। বাসে যেতে চাইলে, এনা ট্রান্সপোর্টে স্টার লাইনে যেতে পারেন। ভাড়া ২৭০ টাকা।

ফেনী স্টেশন রোড থেকে ছাগলনাইয়ার সিএনজি পাওয়া যায়। ভাড়া ২৫ টাকা প্রতিজন। ছাগলনাইয়া বাজার থেকে সাতমঠ বাঁশপাড়া জমিদার বাড়ি খুবই কাছে। সিএনজি নিলে অতিরিক্ত ভাড়া নেবে। এটুকু পথ হেঁটেই চলে যেতে পারবেন। ছাগলনাইয়া বাজারে যে কাউকে সাতমঠ কিংবা সাত মন্দির যাওয়ার উপায় জিজ্ঞেস করলে বলে দেবে। আবার ফেনী থেকে ছাগলনাইয়া আসার পথে সিএনজিচালককে বললে সে হয়তো সাতমঠ যাওয়ার গলির সামনে নামিয়ে দেবে। কারণ, ছাগলনাইয়া বাজারের একটু আগেই বাঁশপাড়া জমিদার বাড়ি সাত মঠ যাওয়ার রাস্তা।

সাত মঠ কিছু ছবি 

বিঃদ্রঃ এখানে দেওয়া সকল তথ্য ইন্টারনেট এর বিভিন্ন তথ্যমূলক ওয়েবসাইট ও স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে সংগ্রহ করে দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো তথ্যে ভুল থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সঠিক তথ্য দিয়ে ভুল টা সংশোধন করার জন্য আমাদের সাহায্য করবেন এবং এই তথ্য টি পরে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে তথ্যটি শেয়ার করবেন ।

তথ্যসূত্র:
স্থানীয় লোকজন
https://bn.wikipedia.org

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here