বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্তের ছোট্ট একটি জেলা মেহেরপুর। এ জেলার রয়েছে প্রায় ২ হাজার বছরের প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য। বিশেষত ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ঘটনায় মেহেরপুরের মুজিবনগর সূতিকাগারের ভূমিকা পালন করায় এ জেলার ইতিহাস হয়েছে অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল । গুরুত্বপূর্ণ প্রত্ন নিদর্শন গুলোর মধ্যে আমদহ গ্রামের স্থাপত্য কীর্তি (architecture of amda village) উল্লেখযোগ্য।
মেহেরপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রত্ন নিদর্শন মেহেরপুর শহর থেকে ৪ কিঃমিঃপূর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত আমদহ গ্রামের স্থাপত্য কীর্তি (architecture of amda village)। প্রায় এক বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই প্রত্নস্থানের চারিদিকে ছিল পরীখা, কিন্তু পরিখার বেষ্টনীতে কোন প্রাচীর ছিলনা। এখন এই প্রত্নস্থানের কোন চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে এখানকার মাটির নীচ থেকে উদ্ধার করা একটি প্রত্নস্তম্ভ পুরাতন জেলা প্রশাসক ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়েছে।
কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে মেহেরপুর পৌঁছাতে ৬ ঘন্টা থেকে ৭ ঘন্টা সময় লেগে যেতে পারে। মেহের পুর উপযুক্ত সময় অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে বছরের যে কোনো সময়েই ভ্রমণ করা যেতে পারে। রাজধানী ঢাকা থেকে মেহেরপুর সদরের দূরত্ব ৩১২ কিলোমিটার। যাতায়াতের দুটি পথ রয়েছে। গাবতলী থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া হয়ে মেহেরপুর অথবা গাবতলী থেকে যমুনা সেতু হয়ে মেহেরপুর গমন। ভাড়া ৩৫০/- থেকে ৪০০/- টাকা। অতঃপর মেহেরপুর থেকে লোকাল বাসযোগে মুজিবনগর গমন। দূরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। ভাড়া জনপ্রতি ২০ টাকা। প্রধান প্রধান পরিবহন সংস্থা: পূর্বাশা, চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স, দর্শনা ডিলাক্স, এম. এম. পরিবহন, মেহেরপুর ডিলাক্স, শ্যামলী পরিবহন, জে.আর পরিবহন প্রভৃতি।
বিঃদ্রঃ এখানে দেওয়া সকল তথ্য ইন্টারনেট এর বিভিন্ন তথ্যমূলক ওয়েবসাইট ও স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে সংগ্রহ করে দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো তথ্যে ভুল থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সঠিক তথ্য দিয়ে ভুল টা সংশোধন করার জন্য আমাদের সাহায্য করবেন এবং এই তথ্য টি পরে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে তথ্যটি শেয়ার করবেন ।