ফেনী জেলার পরিচিতি

1
2680

ফেনী জেলার ইতিহাস

ফেনী (feni) নদীর নাম অনুসারে এ অঞ্চলের নাম রাখা হয়েছে ফেনী।মধ্যযুগে কবি ও সাহিত্যিকদের কবিতা ও সাহিত্যে একটা বিশেষ নদীর স্রোতধা ও ফেরী পারা পারের ঘাট হিসেবে আমরা ফনী শব্দ পাই। ষোড়শ শতাব্দীতে কবি কবীন্দ্র পরমেশ্বর পরাগলপুরের বর্ণনায় লিখছেনঃ “ফনী নদীতে বেষ্টিত চারিধার,পূর্বে মহাগিরি পার নাই তার।” সতের শতকে মির্জা নাথানের ফার্সী ভাষায় রচিত “বাহরিস্তান-ই-গায়েবীতে” ফনী শব্দ ফেনীতে পরিণত হয়। আঠার শতকের শেষভাগে কবি আলী রেজা প্রকাশ কানু ফকির তার পীরের বসতি হাজীগাওর অবস্থান সম্পর্কে লিখছেনঃ “ ফেনীর দক্ষিণে এক ষর উপাম, হাজীগাও করিছিল সেই দেশের নাম।”কবি মোহাম্মদ মুকিম তার পৈতৃক বসতির বর্ণনাকালে বলেছেনঃ “ ফেনীর পশ্চিমভাগে জুগিদিয়া দেশে………।“ বলাবাহুল্য, তারাও নদী অর্থে ফেনী ব্যবহার করেছেন। মনে হয় আদি শব্দ ‘ফনী’ মুসলমান কবি ও সাহিত্যিকদের ভাষায় ফেনীতে পরিণত হয়েছে।

১৮৭২-৭৪ সালের মধ্যে মোগল আমলের আমীরগাও থানা নদী ভাঙ্গনের মুখোমুখি হলে তা ফেনী নদীর ঘাটের অদূরে খাইয়অ্যা্রাতে স্থানান্তরিত হয়েছিল। ঐ থানাটি কোম্পানীর কাগজ পত্রে ফেনী থানা (ফেনী নদীর অদূরে বলে) নামে পরিচিত হয়।অতঃপর ১৮৭৬ সালে নতুন মহকুমার পত্তন হলে খাইয়অ্যা্রা থেকে থানা দপ্তরটি মহকুমা সদরে স্থানান্তরিত হয় ও নতুন মহকুমাটি ফেনী নামে পরিচিত হয়।

দূর অতীতে এ অঞ্চল ছিল সাগরের অংশ; তবে উত্তর পূর্ব দিক ছিল পাহাড়িয়া অঞ্চলের পাদদেশ।ফেনীর পূর্বদিকের রঘুনন্দন পাহাড় থেকে কাজির বাগের পোড়ামাটি অঞ্চলে হয়তঃ আদিকালে শিকারী মানুষের প্রথম পদচিহ্ন পড়েছিল।এখানকার ছাগলনাইয়া গ্রামে ১৯৬৩ সালে একটা পুকুর খননকালে নব্য প্রস্তর যুগের মানুষের ব্যবহৃত একটা হাতিয়ার বা হাতকুড়াল পাওয়া গেছে।পন্ডিতদের মতে ঐ হাতকুড়াল প্রায় পাচ হাজার বছরের পুরাতন।

বৃহত্তর নোয়াখালীর মধ্যে পূর্বদিকের ফেনী (feni) অঞ্চলকে ভূ-খন্ড হিসেবে অধিকতর প্রাচীন বলে পন্ডিতগণ মত প্রকাশ করেছেন। ফেনীর পূর্বভাগের ছাগল নাইয়া উপজেলার শিলুয়া গ্রামে রয়েছে এক প্রাচীন ঐতিহাসিক শিলামূর্তির ধ্বংসাবশেষ।প্রকাশ শিলামূর্তির অবস্থানের কারণে স্থানটি শিলুয়া বা শিল্লা নামে পরিচিত হয়েছে।প্রাচীন কালে হয়ত এখানে বৌদ্ধ ধর্ম ও কৃষ্টির বিকাশ ঘটেছিল।

ডঃ আহমদ শরীফ চট্টগ্রামের ইতিকথায় বলেছেনঃ প্রাচীনকালে আধুনিক ফেনী অঞ্চল ছাড়া নোয়াখালীর বেশির ভাগ ছিল নিম্ন জলা ভূমি। তখন ভুলুয়া (নোয়াখালীর আদি নাম) ও জুগিদিয়া (ফেনী নদীর সাগর সঙ্গমে অবস্থিত) ছিল দ্বীপের মতো।  ছাগল নাইয়া নামকরণ সম্পর্কে কেউ কেউ বলেন যে ইংরেজ আমলের শুরুতে সাগর (Sagor) শব্দটি ভুল ক্রমে সাগল (Sagol) নামে লিপিবদ্ধ হয়েছিল।তাই ছাগল নাইয়া শব্দটি প্রচলিত হয়ে ওঠে।উল্লেখ্য ইংরেজ আমলের পূর্বে কোন পুথি পত্রে ছাগল নাইয়া নামের কোন স্থানের নাম পাওয়া যায় না।

ফেনী (feni) নদীর তীরে রঘুনন্দন পাহাড়ের পাদদেশে অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বীর বাঙ্গালী শমসের গাজীর রাজধানী ছিল। তিনি এখান থেকে যুদ্ধাভিযানে গিয়ে রৌশনাবাদ ও ত্রিপুরা রাজ্য জয় করেন। তিনি চম্পক নগরের একাংশের নামকরণ করেছিলেন জগন্নাথ সোনাপুর।

সংক্ষেপে, ১৯৮৪ সালে প্রশাসনিক পুনর্গঠনের মাধ্যমে যে সকল মহকুমাকে মানোন্নীত করে জেলায় রূপান্তর করা হয়েছিল ফেনী জেলা তার একটি। জেলাটির আয়তন ৯২৮.৩৪ বর্গ কিলোমিটার। ১৯৮৪ সালের পূর্বে এটি নোয়াখালী জেলার একটি মহকুমা ছিল। এ মহকুমার গোড়াপত্তন হয় ১৮৭৫ খ্রীষ্টাব্দে মিরসরাই, ছাগলনাইয়া ও আমীরগাঁও এর সমন্বয়ে। প্রথম মহকুমা প্রশাসক ছিলেন কবি নবীন চন্দ্র সেন। ১৭৭৬ সালে মিরসরাইকে কর্তন করে চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্ভক্ত করা হয়। প্রথম মহকুমা সদর দপ্তর ছিল আমীরগাঁওয়ে। ১৮৮১ সালে তা ফেনী শহরে স্থানান্তরিত হয়।

ফেনী জেলার প্রতিষ্ঠাকাল

১৯৮৪ সালে প্রশাসনিক পুনর্গঠনের মাধ্যমে যে সকল মহকুমাকে মানোন্নীত করে জেলায় রূপান্তর করা হয়েছিল ফেনী জেলা তার একটি। ১৯৮৪ সালের পূর্বে এটি নোয়াখালী জেলার একটি মহকুমা ছিল। এ মহকুমার গোড়াপত্তন হয় ১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দে মীরসরাই, ছাগলনাইয়া ও আমীরগাঁও এর সমন্বয়ে। প্রথম মহকুমা প্রশাসক ছিলেন কবি নবীনচন্দ্র সেন। ১৮৭৬ সালে মীরসরাইকে কর্তন করে চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্ভক্ত করা হয়। প্রথম মহকুমা সদর দপ্তর ছিল আমীরগাঁওয়ে। ১৮৭২ থেকে ১৮৭৪ সালের মধ্যে মোগল আমলের আমীরগাঁও থানা নদী ভাঙ্গনের ফলে ফেনী নদীর ঘাটের কাছাকাছি খাইয়ারাতে স্থানান্তরিত হয়। পরবর্তীতে এটি ফেনী থানা নামে পরিচিত হয়। অতঃপর ১৮৭৬ সালে নতুন মহকুমার পত্তন হলে খাইয়ারা থেকে থানা দপ্তরটি মহকুমা সদরে স্থানান্তরিত হয় ও নতুন মহকুমাটি ফেনী নামে পরিচিত হয়।পরবর্তীতে ১৮৮১ সালে তা ফেনী শহরে স্থানান্তরিত হয়

ফেনী জেলার নামকরণ

ফেনী (feni) নদীর নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম রাখা হয়েছে ফেনী। মধ্যযুগে কবি-সাহিত্যিকদের লেখায় একটি বিশেষ নদীর স্রোতধারা ও ফেরী পারাপারের ঘাট হিসেবে ফনী শব্দের ব্যবহার পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ষোড়শ শতাব্দীর সময়ে কবি কবীন্দ্র পরমেশ্বর পরাগলপুরের বর্ণনায় উল্লেখ করেন, ফনী নদীতে বেষ্টিত চারিধার, পূর্বে মহাগিরি পার নাই তার। এরপর সতের শতকে মির্জা নাথানের ফার্সী ভাষায় রচিত বাহরিস্তানগায়েবীতে ফনী শব্দটি পরিবর্তিত হয়ে ফেনী-তে পরিণত হয়।

আঠারো শতকের শেষার্ধে কবি আলী রজা প্রকাশ কানু ফকির তার পীরের বসতি হাজীগাঁও এর অবস্থান সম্পর্কে লিখছেন, ফেনীর দক্ষিণে এক ষর উপাম, হাজীগাঁও করিছিল সেই দেশের নাম। কবি মুহম্মদ মুকিম তার পৈতৃক বসতির বর্ণনাকালে বলেছেন, ফেনীর পশ্চিমভাগে জুগিদিয়া দেশে। তারাও নদী অর্থে ফেনী ব্যবহার করেছেন। ধারণা করা হয় আদি শব্দ ফনী মুসলমান কবি ও সাহিত্যিকদের ভাষায় ফেনীতে পরিণত হয়েছে।

ফেনী জেলার মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সাথে তিন দিক থেকে ফেনীর (feni) রয়েছে সীমান্ত। ফলে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ফেনীতে ব্যাপক অত্যাচার নিপীড়ন চালায়। ফেনী সীমান্তে মুক্তিযুদ্ধের বেশ কয়েকটি যুদ্ধ হয়। এর মধ্যে শুভপুর ও বিলোনিয়া যুদ্ধ অন্যতম। তৎকালীন আওয়ামী লীগের নেতা ফেনী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আব্দুল মালেক (যুদ্ধকালীন সময়ে বি এল এফ এর প্রেসিডেন্ট) ও খাজা আহমদের নেতৃত্বে ফেনীর মুক্তিযোদ্ধারা দেরাদুন ও চোত্তাখোলায় প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন সাব-সেক্টর কমান্ডার জাফর ইমামের নেতৃত্বে বিলোনিয়া যুদ্ধ একটি অনন্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে।

৬ ডিসেম্বর ফেনী জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ফেনীকে মুক্ত করেন। প্রতি বছর ৬ ডিসেম্বর দিনটিকে ফেনী জেলাবাসী ফেনী মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করে। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য ফেনীর ৩১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় খেতাব দেওয়া হয়। খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ৪ জন বীর উত্তম, ৭ জন বীর বিক্রম এবং ২০ জন বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হন।

ফেনী জেলার জেলার তথ্যাবলী

ফেনী জেলার  ভৌগলিক পরিচিতি

ফেনী (feni) চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি জেলা। এ জেলার মোট আয়তন ৯২৮.৩৪ বর্গ কিলোমিটার। উত্তরে কুমিল্লার লাংগলকোট উপজেলা, পশ্চিমে নোয়াখালীর সেনবাগ, পশ্চিম-দক্ষিণে নোয়াখালীর কোম্পানীগন্জ, পূর্ব-উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পূর্ব-দক্ষিণে চট্রগ্রামের মিরেরসরাই উপজেলা এবং দক্ষিণে বঙ্গপোসাগরের মোহনা।

ফেনী (feni) চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি জেলা। এ জেলার মোট আয়তন ৯২৮.৩৪ বর্গ কিলোমিটার। উত্তরে কুমিল্লার লাংগলকোট উপজেলা, পশ্চিমে নোয়াখালীর সেনবাগ, পশ্চিম-দক্ষিণে নোয়াখালীর কোম্পানীগন্জ, পূর্ব-উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পূর্ব-দক্ষিণে চট্রগ্রামের মিরেরসরাই উপজেলা এবং দক্ষিণে বঙ্গপোসাগরের মোহনা।

আয়তনঃ ৯২৮.৩৪ বর্গ কিঃ মিঃ

প্রশাসনিক কাঠামোঃ

* উপজেলাঃ ৬ টি, ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া, সোনাগাজী, ফূলগাজী, পরশুরাম, দাগনভূঞা

* থানাঃ ৬ টি,  ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া, সোনাগাজী, ফূলগাজী, পরশুরাম, দাগনভূঞা

পৌরসভাঃ ৫ টি

* ইউনিয়নঃ ৪৩ টি

* গ্রামঃ ৫৬৪ টি

* মৌজাঃ ৫৪০ টি

* ইউনিয়ন ভূমি অফিসঃ ২৭ টি, আদায় শিবির ক্যাম্প ০২ টি

* হাট বাজারঃ ১২৩ টি

জনসংখ্যাঃ (২০১১ সালের আদমশুমারী অনুয়ায়ী)

* মোট জনসংখাঃ ১৪, ৯৬,১৩৮ জন

* পুরষঃ ৭, ২২,৬২৬ জন

* নারীঃ ৭, ৭৩,৫১২ জন

* জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৪৫১ জন(প্রতি বর্গ কিঃ মিঃ)

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

feni

ফেনী জেলার অভ্যন্তরীণ মানচিত্র

ফেনী সদর উপজেলা
আয়তন (বর্গ কিলোমিটারে):  ১৯৭.৩৩
প্রশাসনিক থানা: ছাগলনাইয়া
আওতাধীন ইউনিয়ন (১২টি): শর্শদি, পাঁচগাছিয়া, ধর্মপুর, কাজিরবাগ, কালিদহ, বালিগাঁও, ধলিয়া, লেমুয়া, ছনুয়া, মোটব,ফাজিলপুর এবং ফরহাদনগর

ছাগলনাইয়া উপজেলা

আয়তন (বর্গ কিলোমিটারে):১৩৩.৪৯

প্রশাসনিক থানা: ছাগলনাইয়া

আওতাধীন ইউনিয়ন (৫টি): মহামায়া, পাঠাননগর, রাধানগর, শুভপুর এবং ঘোপাল

দাগনভূঁইয়া উপজেলা

আয়তন (বর্গ কিলোমিটারে):১৬৫.৮৪

প্রশাসনিক থানা: দাগনভূঁইয়া

আওতাধীনইউনিয়ন (৮টি): সিন্দুরপুর, রাজাপুর, পূর্বচন্দ্রপুর, রামনগর, ইয়াকুবপুর, দাগনভূঁইয়া,  মাতুভূঁইয়া এবং জায়লস্কর

পরশুরাম উপজেলা

আয়তন (বর্গ কিলোমিটারে):৯৭.৫৭

প্রশাসনিক থানা: পরশুরাম

আওতাধীন ইউনিয়ন (৩টি): মির্জানগর, চিথলিয়া এবং বক্স মাহমুদ

সোনাগাজী উপজেলা

আয়তন (বর্গ কিলোমিটারে):২০৫.০৭

প্রশাসনিক থানা: সোনাগাজী

আওতাধীন ইউনিয়ন (৯টি): চর মজলিশপুর, বগাদানা, মঙ্গলকান্দি, মতিগঞ্জ, চর দরবেশ, চর চান্দিয়া,সোনাগাজী, আমিরাবাদ এবং নবাবপুর

ফুলগাজী উপজেলা

আয়তন (বর্গ কিলোমিটারে):৯৯.০৩

প্রশাসনিক থানা: ফুলগাজী

আওতাধীন ইউনিয়ন (৬টি): ফুলগাজী, মুন্সিরহাট, দরবারপুর, আনন্দপুর, আমজাদহাট এবং জিএমহাট

 ফেনী জেলার জেলার ঐতিহ্য

১) বিজয় সিংহ দিঘি ঃ চারিদিকে উচু পাহাড় ঘেরা এই দিঘি শত বছরের প্রাচিন রুপকথার ইতিহাস বহন করছে। কথিত আছে যে এটি রাজা বিজয় সিংহ এর আমলে রাজার মা কে খুশি করার জন্যে দিঘি টি খনন করেন।স্থানীয়দের মতে এই দিঘিতে সোনা এবং রুপা থালা ভেসে উঠত। একদিন এক ভিখারীনি এক টা থালা চুরি করার পর থেকে আর এই থালা ভেসে উঠেনা।এখন পর্যন্ত এই দিঘি পুরোপুরি ভাবে সেচ দিতে পারেনি কেউ। এখনো মানুষ দুর দুরান্ত থেকে আসে এই দিঘি তে পবিত্র গোসল এবং পানি পান করার জন্যে। এই দিঘিতে অনেক বড় মাছ পাওয়া যেত, যার ওজন হতো ৮০-১০০ কিলো। বর্তমানে এটি সর্কারি মালিকানাধীন এবং সর কারি কর্মকর্তাদের বাসভবন আছে এটির উত্তর পাড়ে। মানুষের আগ্রাসনে এটির পাড় এবং গাছ গুলো মারাত্তক ক্ষয় ও খতির সম্মুখীন হচ্ছে। দিঘিটিতে ছুটির দিন ছাড়াও বিশেষ বিশেষ দিনে অনেক মানুষের সমাগম হয়।

২) জগন্নাথ কালী মন্দিরঃ ছাগলনাইয়া উপজেলায় অবস্থিত। শসসের গাজী তার বাল্যকালে লালন কর্তা জগন্নাথ সেনের স্মৃতিতে এ মন্দির ও কালী মূর্তি নির্মাণ করেন।

৩) চাঁদ খাঁ মসজিদঃ মোগল আমলের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ছিলেন চাঁদ গাজী ভূঞা। তার নামানুসারে ছাগলনাইয়া উপজেলা সদরের অদূরে চাঁদগাজী বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চাঁদগাজী বাজারের কাছে মাটিয়া গোধা গ্রামে অতীত ইতিহাসের সাক্ষী হিসাবে অবস্থান করছে চাঁদগাজী ভূঞা মসজিদ। মধ্যযুগের রীতি অনুযায়ী চুন, সুড়কী ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইট দ্বারা তৈরী এ মসজিদের দেয়ালগুলো বেশ চওড়া। মসজিদের ছাদের উপর রয়েছে তিনটি সুদৃশ্য গম্বুজ । মসজিদের সামনে একটি কালো পাথরের নামফলকে এ মসজিদের নির্মানকাল ১১১২ হিজরী সনউল্লিখিত আছে।

৪) চারশত বছরের প্রাচীন কড়ই গাছ: তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক কবি নবীন চন্দ্র সেন এই গাছের ছায়ায় বসে কবিতা লিখতেন ।

৫)ফেনী সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়: ১৮৮৬ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত।

৬)গান্ধী আশ্রমঃ নতুন মুন্সিরহাট বাজারে অবস্থিত গান্ধী আশ্রম ট্রাষ্ট এর একটি টিন সেড ঘর আছে । ঘরের ভিতর প্রশিক্ষনের সরঞ্জাম সংরক্ষিত আছে । গান্ধী আশ্রম ট্রাষ্টের বিভিন্ন কাগজপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় ,মহাত্মা গান্ধী তাঁর জীবদ্দশায় ১৯২১ সালের ৩১ আগষ্ট ফেনীতে (feni) আগমন করেন এবং রেলওয়ে স্টেশনের বাইরে সভা করেন । ঐদিন ফুলগাজী উপজেলার নতুন মুন্সিরহাট (সাবেক বীরেন্দ্রগঞ্জ বাজার) এর খাদি প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করেন । স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি সশরীরে বর্তমান আশ্রমের স্থানে ছিলেন ।

৭) শমসের গাজীর দীঘিঃ শমসের গাজী তার মাতা কৈয়ারা বেগমের নামে এ দীঘি খনন করেন। এ দীঘি ছাগলনাইয়া উপজেলা সদরের নিকটবর্তী কোনাপুর গ্রামে অবস্থিত। ৪.৩৬ একর আয়তনের এ দীঘির ১/৩ ভাগ ভারতীয় অংশে পড়েছে। ফেনী সদর হতে ছাগলনাইয়ার দূরত্ব ১৮ কি.মি.।

ফেনী জেলার ভাষা ও সংস্কৃতি

ফেনী (feni) জেলার ভূ-প্রকৃতি ও ভৌগলিক অবস্থান, বঙ্গোপসাগরের নোনা জল, পীর-ফকিরের প্রভাব এবং পূর্বপুরুষের বীরত্ব গাঁথা এই জেলার মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি গঠনে প্রভূত ভূমিকা রেখেছে । বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত এ জেলাকে ঘিরে রয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম । দক্ষিণে রয়েছে বঙ্গোপসাগর এর বৈচিত্র্যময় জলরাশি। এখানে ভাষার মূল বৈশিষ্ট্য আবেগ প্রবণতায় অপরকে আপনীকরণের প্রচেষ্টা,এর মাঝে ও ভাষায় কিছুটা বৈচিত্র্য খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন ফেনীর কথ্য ভাষায় মহাপ্রাণ ধ্বনিসমূহ উচ্চারণের ক্ষেত্রে বায়ুপ্রবাহের চাপ কম থাকায় মহাপ্রাণ ধ্বনিসমূহ অল্পপ্রাণ ধ্বনির মত উচ্চারিত হয় আবার অল্পপ্রাণ ধ্বনিসমূহ উচ্চারণের ক্ষেত্রে বায়ুপ্রবাহের চাপ বেশি থাকায় অল্পপ্রাণ ধ্বনিসমূহ মহাপ্রাণ ধ্বনির মত উচ্চারিত হয় ।  বর্ণ উচ্চারণে সহজতর বর্ণ ব্যবহার করা হয় অধিক হারে এবং প্রয়োজনে বর্ণকে ভেঙে কাছাকছি অবস্থান উচ্চারণ অবস্থান বেছে নেওয়া হয় অর্থাৎ ভাষা সহজীকরণের প্রবণতা সুস্পষ্ট। এর অন্যতম আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বাংলাদেশের যে কোন অঞ্চলের মানুষ ফেনীর আঞ্চলিক ভাষাকে সহজভাবে বুঝতে পারে এবং সহজেই এ আঞ্চলিক ভাষাটিকে নিজের কন্ঠে ধারণ করতে পারে। ফেনীর আঞ্চলিক ভাষার সাথে  কুমিল্লা অঞ্চলের চৌদ্দগ্রাম ও লাকসাম উপজেলার আঞ্চলিক ভাষার এবং চট্রগ্রাম অঞ্চলের মিরেরশ্বরাই, বারইয়ারহাট অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষার মিল সুস্পষ্ট । নোয়াখালি ও লক্ষীপুর এলাকার ভাষার অনেকটাই সাযুজ্য রয়েছে ফেনীর আঞ্চলিক ভাষার সাথে । ফেনী-মুহুরী-কহুয়ানদীর  গতিপ্রকৃতি ও ছোট ফেনী-কালিদাস-পাহালিয়া খালের খরস্রোত, নদীভাঙন, বন্যা, চরাঞ্চল এবং বঙ্গোপসাগরের নোনা হাওয়া,ছাগলনাইয়া অঞ্চলের পাহাড়ী লালমাটি ফেনী জেলার  মানুষের আচার-আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, ভাষা, সংস্কৃতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এ অঞ্চলের মানুষগুলো ধর্মভীরু-সহজ-সরল-আতিথ্যপ্রবণ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এ অঞ্চলের মানুষের মজ্জাগত। আঞ্চলিক সংস্কৃতিতে মুখে মুখে ছড়াকাটা, ধাঁধাঁ, বচন ইত্যাদি প্রচলিত। প্রাচীন ভূলভূলাইয়া নদীর (বর্তমানে অস্তিত্বহীন) তীরবর্তী মানুষগুলোর বাণিজ্যযাত্রা ও বণিকের নিয়তি ও প্রেমকাহিনী নিয়ে রচিত ভূলুয়ার পালা এ অঞ্চলের প্রাচীন সংস্কৃতির নিদর্শন। পালা গান,কবি লড়াই, ঢাকী নৃত্য এর পাশাপাশি পুঁথিসাহিত্যে শমসের গাজির কিচ্ছা, ভূলুয়ার কিচ্ছা সুপরিচিত।

ফেনী (feni) জেলায় জন্ম নিয়েছেন অনেক গুণীজন। পীর পাগলা মিয়ার অলৌকিকত্বের কাহিনী দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিস্তৃত বহির্বিশ্বে, বীর শমসের গাজীর বীরত্ব গাঁথা মানুষের মুখে মুখে, পণ্ডিত হাবিবুল্লার পাণ্ডিত্য উপমহাদেশের সীমায় প্রসারিত।মহান বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনে শহীদ সালাম, সু-মহান একাত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবী প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার শহীদ জহির রায়হান, প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার, প্রখ্যাত সাংবাদিক শহীদ সেলিনা পারভীন এবং সদ্য প্রয়াত নাট্যাচার্য ড: সেলিম আল দীন এই মাটির সন্তান যাঁদের নিয়ে গর্ব করে বাংলাদেশ, গর্বিত হয় বিশ্ব। বর্তমান সময়ের সংস্কৃতির আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র ড: ইনামুল হক. লাকী ইনাম, শমী কায়সার, তরু মোস্তফা, গিয়াস উদ্দিন সেলিম প্রমুখ নাট্য ভাবনায় যোগ করছেন নতুনত্ব, এগিয়ে নিয়ে চলেছেন বাংলা নাটককে। বর্তমান ফেনী সাংস্কৃতিমুখর পরিবেশে শান্তির জনপদ । এই পরিবেশে জন্ম নেবে আরও প্রতিভাবান ব্যক্তিবর্গ যারা এগিয়ে নিবে পূর্বতন প্রতিভার অসমাপ্ত কাজকে।

ফেনী জেলার ব্যবসা বাণিজ্য

ফেনী (feni) জেলার অর্থনীতি প্রধানত কৃষি নির্ভর। জেলার মধ্যদিয়ে কয়েকটি নদী প্রবাহিত হওয়ার ফলে এর কৃষি জমি সমূহ বেশ উর্বর। এছাড়া এ অঞ্চলের অনেক লোক বিদেশ থাকার ফলে প্রচুর পরিমাণ বৈদিশিক আয় এ জেলার অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে।

ফেনী (feni) জেলার অর্থনীতি প্রধানত কৃষি নির্ভর। জেলার মধ্যদিয়ে কয়েকটি নদী প্রবাহিত হওয়ার ফলে এর কৃষি জমি সমূহ বেশ উর্বর। এছাড়া এ অঞ্চলের অনেক লোক বিদেশ থাকার ফলে প্রচুর পরিমাণ বৈদিশিক আয় এ জেলার অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে।

ফেনী জেলার অর্থনীতি প্রধানত কৃষি নির্ভর। জেলার মধ্যদিয়ে কয়েকটি নদী প্রবাহিত হওয়ার ফলে এর কৃষি জমি সমূহ বেশ উর্বর। এছাড়া এ অঞ্চলের অনেক লোক বিদেশ থাকার ফলে প্রচুর পরিমাণ বৈদিশিক আয় এ জেলার অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে।

নদনদী

ফেনী (feni) জেলার প্রধান প্রধান নদীগুলো হল ফেনী নদী, মুহুরী নদী, ছোট ফেনী নদী, কহুয়া নদী, সিলোনিয়া নদী এবং কালিদাস পাহালিয়া নদী।

ফেনী জেলার ঐতিহাসিক স্থান

* হযরত শাহ সৈয়দ আমির উদ্দীন রঃ (পাগলা বাবার) মাজার ।

* শতবর্ষী চাঁদগাজী ভুঞাঁ মসজিদ, ছাগলনাইয়া।

* প্রাচীর সুড়ঙ্গ মঠ, ফুলগাজী।

* বিলোনিয়া সীমান্ত পোস্ট, পরশুরাম।

* বিলোনিয়া পুরাতন রেল স্টেশন।

ফেনী জেলার দর্শনীয় স্থান

  • কাজিরবাগ ইকো পার্ক
  • কালীদহ বরদা বাবু জমিদার বাড়ি
  • কৈয়ারা দীঘি
  • চাঁদ গাজী ভুঞার মসজিদ
  • চৌধুরী বাগান বাড়ী
  • জগন্নাথ কালী মন্দির
  • তৃপ্তি এগ্রো পার্ক
  • দাগনভূঁইয়া জমিদার বাড়ি
  • প্রতাপপুর জমিদার বাড়ি
  • ফেনী নদী
  • ফেনী বিমানবন্দর
  • বাঁশপাড়া জমিদার বাড়ি
  • বিজয় সিংহ দীঘি
  • ভাষা শহীদ সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর
  • মুহুরী প্রজেক্ট
  • মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মসজিদ
  • রাজাঝির দীঘি
  • শমসের গাজীর কেল্লা
  • শর্শাদী শাহী মসজিদ
  • শিলুয়া মন্দির
  • সাত মঠ
  • সেনেরখিল জমিদার বাড়ি

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব

  • আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী–– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রাক্তন উপাচার্য।
  • আবদুস সালাম–– ভাষা শহীদ।
  • আবদুস সালাম–– বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম মহাপরিচালক।
  • আমিন আহমদ–– প্রাক্তন বিচারপতি।
  • আমীন আহম্মেদ চৌধুরী–– বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা।
  • আহমেদ ফজলুর রহমান–– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাঙালি উপাচার্য।
  • ইনামুল হক–– অভিনেতা, লেখক এবং নাট্যকার।
  • ওয়াসফিয়া নাজরীন–– পর্বতারোহী, এভারেস্ট বিজয়ী দ্বিতীয় বাঙালি নারী।
  • কাইয়ুম চৌধুরী–– চিত্রশিল্পী।
  • কাজী এবাদুল হক–– ভাষা সৈনিক এবং প্রাক্তন বিচারপতি।
  • খালেদা জিয়া–– রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী।
  • গিয়াস উদ্দিন সেলিম–– নাট্যকার, নাট্যনির্মাতা এবং চলচ্চিত্রকার।
  • গিয়াস কামাল চৌধুরী–– সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং সংবাদ বিশ্লেষক।
  • জহির রায়হান–– ভাষা সৈনিক, চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক এবং গল্পকার।
  • জাফর ইমাম–– বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সাবেক মন্ত্রী।
  • জাহান আরা বেগম সুরমা–– রাজনীতিবিদ।
  • নজির আহমেদ–– ছাত্রনেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার তিনি প্রথম শিকার।
  • নিজাম উদ্দিন হাজারী–– রাজনীতিবিদ।
  • পান্না কায়সার–– রাজনীতিবিদ।
  • ফয়জুল মহিউদ্দিন–– শহীদ বুদ্ধিজীবী।
  • বেলাল চৌধুরী–– সাংবাদিক এবং প্রাবন্ধিক।
  • মকবুল আহমদ–– বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির।
  • মহম্মদ আবুল কাসেম–– বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতি।
  • মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী–– রাজনীতিবিদ এবং প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা।
  • মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন–– ব্যবসায়ী, শিল্পপতি এবং রাজনীতিবিদ।
  • মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন–– ক্রিকেটার।
  • রবিউল হক–– বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা।
  • রহিম উল্লাহ–– রাজনীতিবিদ।
  • রোকেয়া প্রাচী–– অভিনেত্রী এবং নাট্যকার।
  • শমসের গাজী–– ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী।
  • শমী কায়সার–– অভিনেত্রী এবং প্রযোজক।
  • শরিফা খাতুন–– শিক্ষাবিদ এবং ভাষা সৈনিক।
  • শহীদুল্লা কায়সার–– লেখক এবং বুদ্ধিজীবী।
  • শামসুন নাহার মাহমুদ–– নারী মুক্তি আন্দোলনের নেত্রী।
  • শাহরিয়ার কবির–– লেখক এবং সাংবাদিক।
  • শিরীন আখতার–– রাজনীতিবিদ।
  • শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন–– সেনা কর্মকর্তা।
  • সালাহউদ্দিন মমতাজ–– বীর মুক্তিযোদ্ধা।
  • সিরাজুল হক খান–– শহীদ বুদ্ধিজীবী।
  • সুলতান মাহমুদ–– বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
  • সেলিনা পারভীন–– শহীদ বুদ্ধিজীবী।
  • সেলিম আল দীন–– নাট্যকার এবং গবেষক।
  • হবীবুল্লাহ বাহার চৌধুরী–– রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক এবং ফুটবলার।

বিঃদ্রঃ এখানে দেওয়া সকল তথ্য ইন্টারনেট এর বিভিন্ন তথ্যমূলক ওয়েবসাইট ও স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে সংগ্রহ করে দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো তথ্যে ভুল থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সঠিক তথ্য দিয়ে ভুল টা সংশোধন করার জন্য আমাদের সাহায্য করবেন এবং এই তথ্য টি পরে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে তথ্যটি শেয়ার করবেন ।

তথ্যসূত্র:
স্থানীয় লোকজন
https://bn.wikipedia.org

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here