নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর

3
1611

Sonargaon Museum

সোনারগাঁ বাংলার মুসলিম শাসকদের অধীনে পূর্ববঙ্গের একটি প্রশাসনিক কেন্দ্র একসময়। বাংলার প্রাচীন রাজধানী ঈশা খাঁর সোনার স্বপ্নের অনুপম নগরী সোনারগাঁ অবস্থিত।  সোনারগাঁ লোকশিল্প জাদুঘর (Sonargaon Museum) রাজধানী ঢাকা থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলায় অবস্থিত। মধ্যযুগীয় নগরটির যথার্থ অবস্থান নির্দেশ করা কঠিন। বিক্ষিপ্ত নিদর্শনাদি থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এটি পূর্বে মেঘনা, পশ্চিমে শীতলক্ষ্যা, দক্ষিণে ধলেশ্বরী ও উত্তরে ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বেষ্টিত একটি বিস্তৃত জনপদ ছিল। প্রাচীন বাংলার রাজধানী এবং ইতিহাসের এক গৌরববোজ্জল জনপদ ছিল এটি। ১৩৩৮ সালে বাংলার স্বাধীন সুলতান ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ সোনারগাঁয়ে বাংলার রাজধানী স্থাপন করেন। সোনার গাঁয়ের নাম নিয়ে যুগ যুগ ধরে লোক মুখে গল্প শুনে আসছি। কেউ বলে এই প্রাচীন নগরীর পাশে ছিল একটি সোনার খনি। বুড়িগঙ্গা থেকে ভেসে আসতো সোনার গুড়ো। সেই জন্য এই জায়গার নাম রাখা হয় ‘সুবর্ণ গ্রাম। আবার অনেকের ধারনা এই শহরটি নাম হয়েছে ঈশা খাঁর স্ত্রী সোনা বিবির নামে। আর ওই নগরটি ছিল ঈসা খাঁর রাজধানী। আবার অনেকেই বলে পুরো এলাকার মাটি ছিল লালবর্ণ। সেই থেকে এই জনপদের নাম রাখা হয় সোনার গাঁও।

লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর (Sonargaon Museum)

বাংলাদেশের প্রাচীণ ঐতিহ্য রক্ষার্থে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গঠিত সোনারগাঁ লোকশিল্প জাদুঘর, যা ঢাকার অদূরে সোনাগাঁতে অবস্থিত। আবহমান গ্রাম বাংলার লোক সাংস্কৃতিক ধারাকে বিকশিত করার উদ্যোগে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ১২ মার্চ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সোনারগাঁয়ের ঐতিহাসিক পানাম নগরীর একটি পুরনো বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন। পরে ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে ১৫০ বিঘা আয়তনের কমপ্লেক্সে খোলা আকাশের নিচে বাংলার প্রকৃতি ও পরিবেশে গ্রামীণ রূপকেন্দ্রিক বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের শৈল্পিক কর্মকান্ডের পরিচয় তুলে ধরতে শিল্পী জয়নুল আবেদীন এই সোনারগাঁ লোকশিল্প জাদুঘর (Sonargaon Museum) উন্মুক্ত পরিবেশে গড়ে তোলার প্রয়াস নেন এবং বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন কমপ্লেক্সটি প্রায় ১০০ বছর পুরনো সর্দার বাড়িতে স্থানান্তরিত হয়। সোনারগাঁয়ের “বড়সর্দারবাড়ি” নামে পরিচিত একটি প্রাচীন জমিদার প্রাসাদে এই জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে। এখানে আরো রয়েছে একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, কারুপল্লী ও একটি বিশাল লেক। সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এলাকায় রয়েছে লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরটি (Sonargaon Museum)। এখানে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের অবহেলিত গ্রাম-বাংলার নিরক্ষর শিল্পীদের হস্তশিল্প, জনজীবনের নিত্য ব্যবহার্য পণ্যসামগ্রী।

এসব শিল্প-সামগ্রীতে তৎকালীন প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্পের রূপচিত্র প্রস্ফুটিত হয়। সর্দার বাড়িতে মোট ১০টি গ্যালারী রয়েছে। গ্যালারিগুলোতে কাঠ খোদাই, কারুশিল্প, পটচিত্র ও মুখোশ, আদিবাসী জীবনভিত্তিক নিদর্শন, গ্রামীণ লোকজীবনের পরিবেশ, লোকজ বাদ্যযন্ত্র ও পোড়ামাটির নিদর্শন, তামা-কাসা-পিতলের নিদর্শন, লোহার তৈরি নিদর্শন, লোকজ অলংকারসহ রয়েছে বহু কিছু। ভবনটির সামান্য পূর্বে রয়েছে লোকজ স্থাপত্যকলায় সমৃদ্ধ আধুনিক এক ইমারতে প্রতিষ্ঠিত জয়নুল আবেদীন স্মৃতি জাদুঘর। এই ভবনটিতে মাত্র দু’টি গ্যালারি। এই দুইটি গ্যালারির মধ্যে একটি গ্যালারি কাঠের তৈরি, যা প্রাচীন ও আধুনিক কালের নিদর্শন সমৃদ্ধ। তাছাড়া বাংলাদেশের প্রাকৃতিক, বৈশিষ্ট্য কাঠ এবং কাঠ থেকে বিভিন্ন কারুপণ্য তৈরি এবং সর্বশেষ বিক্রির সামগ্রিক প্রক্রিয়া, অত্যন্ত আকর্ষণীয়ভাবে সুন্দর মডেল দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এখানে দেখার মতো রয়েছে লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন জাদুঘর (Sonargaon Museum) এবং ফাউন্ডেশন চত্বর। দুটি ভবনের বাইরে রয়েছে পাঠাগার, ডকুমেন্টেশন সেন্টার, সেমিনার হল, ক্যান্টিন, কারুপল্লী,কারুমঞ্চ, গ্রামীণ উদ্যান ও বিভিন্ন রকমের বৃক্ষ, মনোরম লেক, লেকের মাঝে ঘুরে বেড়ানোর জন্য নৌ বিহার, টিকিট কেটে মাছ ধরার সুন্দর ব্যবস্থা ব্যবস্থা ও পংখীরাজ নৌকা।

বাংলার প্রাচীন ও মধ্য যুগের লোকশিল্পের অনেক নিদর্শন রয়েছে এখানে, রয়েছে বাংলার প্রাচীন মুদ্রা। সোনারগাঁ লোকশিল্প জাদুঘর কারুপল্লীতে বৈচিত্র্যময় দোচালা, চৌচালা ও উপজাতীয়দের আদলে তৈরি ঘরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অজানা, অচেনা, আর্থিকভাবে অবহেলিত অথচ দক্ষ কারুশিল্পীর তৈরি বাঁশ- বেত, কাঠ খোদাই, মাটি, জামদানি, নকশিকাঁথা, একতারা, পাট, শঙ্খ, মৃৎশিল্প ও ঝিনুকের সামগ্রী ইত্যাদি কারুপণ্যের  প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া প্রতি বৈশাখ মাসে এখানে সাড়ম্বরে আয়োজিত হয় লোকশিল্প মেলা। এইমেলায় লোকসংগীত, যাত্রাপালা, কবিগান ইত্যাদি লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানমালা পরিবেশন করা হয়। মেলায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসেন লোকজ শিল্পী ও কারুশিল্পীরা। মাটি, শোলা, বাঁশ, বেত, কাপড়সহ বিভিন্ন হস্ত শিল্পজাত সামগ্রী বিক্রি হয় এ মেলায়। এছাড়াও জাদুঘরের সম্মুখে অবস্থিত লেকে নৌকাভ্রমণ ও শীত মৌসুমে টিকেট কেটে মাছ ধরার ব্যবস্থা আছে। দর্শণার্থীদের খাওয়া-দাওয়ার জন্য রয়েছে ক্যান্টিন।

কারুশিল্প গ্রাম

সোনারগাঁও জাদুঘরের (Sonargaon Museum) উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বে কারুশিল্প গ্রাম অবস্থিত। এখানে বৈচিত্র্যময় লোকজ স্থাপত্য গঠনের দো-চালা, চৌ-চালা, আদিবাসী মোটিফেসন ও বাঁশ, বেত দিয়ে তৈরি কুঁড়ে ঘর। এ ঘরগুলো এ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অজানা-অচেনা অথচ দক্ষ কারুশিল্পীরা বাঁশ, বেত, কাঠ, খোদাই-পাটশিল্প মাটি, জামদানী, নকশী কাঁথা, ঝিনুক, শংখ শিল্প ইত্যাদি উৎপাদন ও প্রদর্শন ও বিক্রি করছে। জাদুঘর থেকে বেরিয়ে উত্তর দিকে গেলেই পানাম নগরী। এখানে রয়েছে হাজার বছরের প্রাচীন স্থাপত্যকলা ও অনুপম শিল্প নিদর্শনে ভরপুর, রাস্তার দু’পাশে শত শত বছরের পুরনো অট্টালিকা দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। পানাম নগরীর চারিদিকে আছে পক্ষখীরাজ খাল। এ খালের একটু ভিতরে রয়েছে পক্ষখীরাজ সেতু (পানাম সেতু) ও নীলকুঠি। জানা যায় যে, তৎকালীন বাংলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বাস করতেন এই পানাম নগরীতে। এই পানাম নগরীতে আরও রয়েছে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, মঠ, আবাসিক ভবন, গোসলখানা, নাচঘর, টুরিস্টহোম, আর্টগ্যালারি, খাজাঞ্চিখানা, দরবার কক্ষ, প্রশস্তকক্ষ, গুপ্ত পথ, বিচারালয়, পুরনো জাদুঘর, বিদ্যাপীঠ। এই বিদ্যাপীঠের নাম সোনার গাঁও জি আর ইনস্টিটিউশন। এছাড়া রয়েছে চারশো বছরের প্রাচীন টাকশাল বাড়ি।

গোয়ালদী হোসেন শাহী মসজিদ

সোনারগাঁও জাদুঘরের (Sonargaon Museum) দুই নম্বর গেট দিয়ে বেরিয়ে পশ্চিম দিকে গেলে মুসলিম স্থাপত্য গোয়ালদী হোসেন শাহী মসজিদ। এ মসজিদটি সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহীর শাসনামলে নির্মিত হয়। মোগড়া পাড়া চৌ-রাস্তা দিয়ে একটু দক্ষিণ দিকে গেলে দেখা যাবে ইমারতরাজি, বারো আউলিয়ার মাজার, হযরত শাহ ইব্রাহিম দানিশ মন্দা ও তার বংশধরদের মাজার, ইউসুফগঞ্জে মসজিদ, দমদম গ্রামে অবস্থিত দমদমদুর্গ, সোনারগাঁ থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে চিল্লাপুর গ্রামে সুলতান গিয়াসউদ্দিন আযম শাহের মাজার, ১৪১১ সালে এটি নির্মিত হয়। মাজারটি পুরো কষ্টি পাথরের তৈরি। এলাকাবাসী এ মাজারটিকে কালো দরজা বলে। এখানে আছে ঐতিহাসিক পাঁচ পীরের মাজার। জাদুঘরে যাওয়ার পথে দীঘির পাড় গ্রামের পূর্ব পার্শ্বে ঐতিহাসিক মুসলিম পাড়ার গ্রাম খাসনগর। এখানে আরও রয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের তীর্থভূমি বারদী লোকনাথ ব্রহ্মাচারীর আশ্রম। এর পাশে একটু পূর্বদিকে রয়েছে পশ্চিম বঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর বাড়ি। সোনার গাঁয়ের আমিনপুরে প্রায় চারশো বছরের পুরনো ক্রোড়ি বাড়ি। শের শাহ ও সম্রাট আকবরের শাসনামলে এই ইমারতটি ছিলো টাকশাল। সম্ভবত সোনারগাঁও এলাকার বিত্তশালীদের ধনভান্ডারও ছিলো এটি। ব্রাডলিকর্ট তার ‘রোমান্স অব অ্যান ইস্টার্ন ক্যাপিটাল’ গ্রন্থে ক্রোড়ি বাড়ির উল্লেখ করেছেন। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দ্বিতল এই বাড়িটি ভগ্নস্তুপে পরিণত হতে চলেছে। সোনারগাঁয়ের মাটিতে একদিন এসেছিলেন বিশ্বখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা, ফা-হিয়েন, রাণী এলিজাবেথের বিশেষ দূত রাখফফীচ, চীনা নৌবহনের ক্যাপ্টেন কংছুলোরসহ আরও অনেকে।

ইতিহাস থেকে আরও জানা যায়, বাঙালি ইতিহাসের হাজার বছরের পথ অতিক্রমকারী এক ধূসর সোনালী অধ্যায় হচ্ছে সোনারগাঁও। কালের আবর্তে সেই রহস্যময় নগরী হয়ে উঠেছে দর্শনীয় স্থান। প্রাচ্যের রহস্যময় সোনারগাঁওকে নিয়ে ঐতিহাসিকরা লিখেছে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা। সোনারগাঁওয়ের মাটিতে এসেছিলেন ১৫৮৬ সালে রাণী এলেজাবেথের বিশেষ দূত রাফল কীচ। ১৩৪৫ সালে এখানের ঐতিহ্যকে জানতে মেঘনা তীরে দাঁড়িয়ে ছিলেন মরক্কোর বিশ্বখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা। আরো এসেছিলেন ফাহিয়েন, চীনা নৌবহরের ক্যাপ্টেন কংছুলো হাত নেড়ে অভিবাদন জানিয়েছিলেন। এখানে ইসলাম প্রচার করতে এসেছিলেন হযরত শাহজালাল (রহ.)। এই সোনারগাঁও ছিল এক সময়ের একটি স্বাধীন দেশের রাজধানী। প্রাচীন বাংলার ক্ষুদ্র স্বাধীন দেশ হিসেবে ছিল ৩০ হতে ৪০ মাইল পাশের একটি দেশ ছিল সোনারগাঁও। সম্পূর্ণ দেশটিই সোনারগাঁও রাজ্য হিসেবে পরিচিত ছিল। সে রাজ্যের রাজধানীর নামও ছিল সোনারগাঁও। সোনার গায়ের পূর্ব নাম ছিল সূবর্ণ গ্রাম। সূবর্ণগ্রাম নামটি হল সংস্কৃত শব্দ। সূবর্ণগ্রামোজয়া, সোনারং, সূবর্ণবীথি, নব্যঅবকাশিকা নামেও সোনার গাঁওয়ের পরিচিতি ছিল। ১৩০০ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে মূলত সোনার গাঁও একটি স্বাধীন দেশে রূপান্তরিত হয়। গিয়াসুদ্দীন বাহাদুর শাহ্ সোনারগাঁওয়ের গর্ভনর থাকাকালীন সোনারাগাঁওয়ের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। দিল্লীর তুঘলক বংশের সম্রাট গিয়াসুদ্দীন বাহাদুর শাহ্ পরাজিত হন। তুঘলক বাহাদুর শাহের সঙ্গে যুগ্ন শাসক হিসেবে তাতার খানকে সোনারগাঁয়ে নিয়োগ দেন। শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ্ ১৩৫৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে সোনার গাঁওয়ের ইলিয়াস শাহী বংশের শুভ সূচনা করেছিলেন। তাঁর রেশ ধরে তার উত্তরাধিকারী গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ ১৪১০ খ্রিঃ পর্যন্ত সোনার গাঁওয়ের গৌরবময় ঐতিহ্য ধরে রেখেছিলেন। ১৪১০ খ্রিষ্টাব্দের পরে সোনার গাঁয়ের ঐতিহ্য আবার হারিয়ে যায়। শুধু মসলিন কাপড় উৎপাদন ও কয়েকটি সমৃদ্ধ শিক্ষালয়ের জন্য সোনারগাঁও টিকে থাকে। ঐসময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর বাণিজ্য কার্যক্রম ও চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে ইউরোপীয় অনুপ্রেরণায় নতুন ঔপনিবেশিক স্থাপত্যরীতিতে গড়ে উঠে পানাম নগরী। রাস্তার শত বছরের পুরানো অট্টালিকা দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হিসেবে। এর চারদিকে আছে পংখীরাজ খাল। এ খালের একটু ভেতরেই আমরা দেখতে পেলাম পংখীরাজ সেতু ও নীটকুঠি। তৎকালীন সময়ে বাংলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এখানে বাস করতেন বলে জানা যায়।

কিভাবে যাওয়া যায়:

আপনাকে গুলিস্তান থেকে স্বদেশ পরিবহনে উঠতে হবে। নামবেন মোরগাপাড়া চৌরাস্তা, সময় লাগতে পারে ১ ঘন্টা শুক্রবার ছাড়া অন্যদিন হলে ২ থেকে আড়াই ঘণ্টা হাতে নিয়ে বেরুতে হবে। নেমে দেখবেন অটো দাড়ানো আছে। এছাড়া চৈতি গার্মেন্টস্ এর গলি দিয়েও জাদুঘর যাওয়া যায়।

অথবা গুলিস্তান থেকে চিটাগাং রোডের বাসে করে চিটাগাং রোড যাবেন। সেখান থেকে সিএনজিতে করে যেতে পারেন। আবার বাসে করেও যেতে পারেন। বাসে গেলে নামতে হবে পানাম নগর বাসস্ট্যান্ড। সেখান থেকে রিকসায় সোনারগা যাদুঘর।

সোনারগাঁ লোকশিল্প জাদুঘর কিছু ছবি

বিঃদ্রঃ এখানে দেওয়া সকল তথ্য ইন্টারনেট এর বিভিন্ন তথ্যমূলক ওয়েবসাইট ও স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে সংগ্রহ করে দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো তথ্যে ভুল থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সঠিক তথ্য দিয়ে ভুল টা সংশোধন করার জন্য আমাদের সাহায্য করবেন এবং এই তথ্য টি পরে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে তথ্যটি শেয়ার করবেন ।

তথ্যসূত্র:
স্থানীয় লোকজন
https://bn.wikipedia.org

3 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here