বরগুনা (barguna) জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডর-এর আঘাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা। বরগুনা দক্ষিণাঞ্চলের জেলা। এর দক্ষিণে পটুয়াখালী ও বঙ্গোপসাগর, উত্তরে ঝালকাঠি, বরিশাল, পিরোজপুর ও পটুয়াখালী; পূর্বে পটুয়াখালী এবং পশ্চিমে পিরোজপুর ও বাগেরহাট।জেলা সদরে বরগুনা শহর। একটি পৌরসভা। ৯ ওয়ার্ড ও ১৮ মহল্লা।
বরগুনা জেলার ইতিহাস
১৯৬৯ সালে বরগুনা পটুয়াখালী জেলার অধীনে একটি মহকুমা হয় । ১৯৮৪ সালে দেশের প্রায় সকল মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হলে বরগুনা জেলায় পরিণত হয়।
বরগুনা (barguna) নামের ইতিহাসের সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য না পাওয়া গেলেও জানা যায় যে, উত্তরাঞ্চলের কাঠ ব্যবসায়ীরা এতদ্ঞ্চলে কাঠ নিতে এসে খরস্রোতা খাকদোন নদী অতিক্রম করতে গিয়ে অনুকুল প্রবাহ বা বড় গোনের জন্য এখানে অপেক্ষা করত বলে এ স্থানের নাম বড় গোনা। কারো মতে আবার স্রোতের বিপরীতে গুন(দড়ি) টেনে নৌকা অতিক্রম করতে হতো বলে এ স্থানের নাম বরগুনা । কেউ কেউ বলেন , বরগুনা নামক কোন প্রতাপশালী রাখাইন অধিবাসীর নামানুসারে বরগুনা । আবার কারো মতে বরগুনা নামক কোন এক বাওয়ালীর নামানুসারে এ স্থানের নামকরণ করা হয় বরগুনা ।
বরগুনা জেলার ভৌগলিক পরিচিতি
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে ২১ডিগ্রী ৫০ মিনিট ০৫ সেকেন্ড হতে ২৩ ডিগ্রী ০৪ মিনিট ১০ সেকেন্ড উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯ ডিগ্রী ৫৯ মিনিট ৫০ সেকেন্ডহতে ৯১ ডিগ্রী ০৪ মিনিট ৮৮ সেকেন্ড পূর্বদ্রাঘিমাংশের মধ্যবর্তী স্থানে সমুদ্রতল হতে 11 ডিগ্রী উচ্চে বরগুনা জেলা অবস্থিত। বরগুনা জেলার উত্তরে ঝালকাঠী,বরিশাল,পিরোজপুর ও পটুয়াখালী জেলা, দক্ষিণে পটুয়াখালী জেলা ও বঙ্গোপসাগর, পূর্বে পটুয়াখালী জেলা, পশ্চিমে পিরোজুর ও বাগেরহাট জেলা। জেলার উল্লেখযোগ্য নদী গুলো হলো পায়রা,বিষখালী ও বলেশ্বর। এখানকার বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ৩৩.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পরিমান ১২.১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। জেলার বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৫০৬ মিঃমিঃ।
বরগুনা (barguna) নামের ইতিহাসের সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য না পাওয়াগেলেও জানা যায় যে,উত্তরাঞ্চলের কাঠ ব্যবসায়ীরা এতদ্ঞ্চলে কাঠ নিতে এসে খরস্রোতা খাকদোন নদী অতিক্রম করতে গিয়ে অনুকুল প্রবাহ বা বড় গোনের জন্য এখানে অপেক্ষা করত বলে এ স্থানের নাম বড় গোনা। কারো মতে আবার স্রোতের বিপরীতে গুন(দরি)টেনে নৌকা অতিক্রম করতে হতো বলে এ স্থানের নাম বরগুনা। কেউ কেউ বলেন ,বরগুনা নামক কোন প্রতাপশালী রাখাইন অধিবাসীর নামানুসারে বরগুনা ।আবার কারো মতে বরগুনা নামক কোন এক বাওয়ালীর নামানুসারে এ স্থানের নামকরণ করা হয় বরগুনা।
সাগর উপকূলীয় জেলা বরগুনার (barguna) সাথে আন্তঃজেলা এর অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব একটা উন্নত নয়। সড়ক পথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্থানে ফেরী পারাপার থাকায় যোগাযোগ বেশ সময় সাপেক্ষ। নদী পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকলেও সময় মত কাঙ্খিতমানের পার্যাপ্তর নৌ-যান পাওয়া যায়না।
বরগুনা (barguna) সদর থেকে সড়ক পথে পায়রা,লেবুখালী ও কির্তনখোলা নদী ফেরী পারাপারের মাধ্যমে পটুয়াখালী হয়ে বরিশাল বিভাগীয় শহরে পৌছান যায়। এ পথের মোট দূরত্ব প্রায় ৯০ কিঃমিঃ এবং সময় লাগে প্রায় ০৪ ঘন্টা। বর্তমানেএ পথের বিকল্প হিসেবে বরিশাল বিভাগীয় শহরে যাতায়াতের জন্য বরগুনা-বেতাগী-মির্জাগজ্ঞ-বাকেরগজ্ঞ-দপদপিয়া সড়কটি ব্যবহৃত হচ্ছে। এ পথে অপেক্ষাকৃত কম সময় লাগলেও সড়কটিতে সংস্কার কাজ চলমান থাকায় এ পথটি কম ব্যবহৃত হচ্ছে।
বরগুনা ও ঝালকাঠীর মাঝে নৌ-পথে যোগাযোগ বিদ্যমান। এ ছাড়া সড়কপথে বরিশাল হয়ে ঝালকাঠীতে যাওয়া যায় যা অত্যন্তব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ। বরগুনা হতে সড়ক পথে কাকাচিড়া-শতকর-মঠবাড়িযা-ভান্ডারিয়া-পিরোজপুর হয়ে বাগেরহাট ও খুলনা বিভাগীয় শহরে যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে।
বরগুনা জেলার জনসংখ্যা
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বরগুনা জেলার মোট জনসংখ্যা ৮,৯২,৭৮১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪,৩৭,৪১৩ জন এবং মহিলা ৪,৫৫,৩৬৮ জন। মোট পরিবার ২,১৫,৮৪২টি।
উপজেলার ইউনিয়নের তালিকা
বরগুনা জেলা ৬ টি উপজেলা নিয়ে গঠিত।
বরগুনা জেলার অভ্যন্তরীণ মানচিত্র
১। বরগুনা সদর
বরগুনা সদর উপজেলা উপজেলা ১০ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ইউনিয়নগুলো হলঃবদরখালী, গৌরীচন্না,ফুলঝুড়ি,কেোড়াবুনিয়া, আয়লাপাতাকাটা, বুড়িরচর, ঢলুয়া,বরগুনা,এম বালিয়াতলী,নলটোনা
২। আমতলী
বর্তমানে ৭ টি ইউনিয়ন নিয়ে আমতলী উপজেলা গঠিত : গুলিসাখালী,কুকুয়া,আঠারগাছিয়া,হলদিয়া ,চাওড়া ,আমতলী ,আড়পাঙ্গাশিয়া
৩। বামনা
উপজেলা ০৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।ইউনিয়নগুলো হলঃবামনা,রামনা,ডেীয়াতলা,বুকাবুনিয়া
৪।পাথরঘাটা
উপজেলা ০৭ টি ইউনিয়ন গঠিত। ইউনিয়নগুলো হলঃরায়হানপুর ইউনিয়ন, নাচনাপাড়া ইউনিয়ন, চরদুয়ানী ইউনিয়ন,পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন,কালমেঘা ইউনিয়ন, কাকচিড়া ইউনিয়ন,কাঠালতলী ইউনিয়ন
৫।তালতলী
তালতলী উপজেলা ০৭ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। পঁচাকোড়ালিয়া,ছোটবগী, কড়ইবাড়ীয়া,শারিকখালী,বড়বগী,নিশানবাড়ীয়া,সোনাকাটা
৬।বেতাগী
বেতাগী উপজেলা ০৭ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বিবিচিনি,বেতাগী,হোসনাবাদ,মোকামিয়া,বুড়ামজুমদার,কাজিরাবাদ, সরিষামুড়ি
বরগুনা জেলার ভাষা ও সংস্কৃতি
বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কুলঘেষা জেলা বরগুনা । ভাষাগত দিক দিয়ে এ জেলার মানুষ স্বাভাবিক বাংলা ভাষা ছাড়া নিজস্ব আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন । “তুমি’-“তুই’ “আমি’-“মুই’ “আমরা’-” মোরা’ “আসি’ “আই’ “বলছি’ “কইছি’ “সেটা’ ” হেইয়া ‘ ” তাদের’ “হ্যাগো’ শব্দ ব্যবহারে অভ্যস্ত । এ জেলায় চার ধর্মের লোক বাস করেন । মুসলমান ও হিন্দু সর্বত্র, রাখাইন (বৌদ্ধ) আমতলী উপজেলা তালতলী ও বরগুনা সদর উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নে এবং বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের দেশান্তরকাঠীতে খ্রীস্টান ধর্মের লোক বসবাস করেন ।এরা সকলেই আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন। অধিকন্তু রাখাইন সম্প্রদায়ের জনসাধারণ তাদের নিজেদের মাঝে নিজস্ব আরাকাইন ভাষায় কথা বলে ।
উপকূলীয় এ জেলায় সাধারণত: ৩ ধরণের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড প্রচলিত রয়েছে । যেমনঃ-
১. লোক সংস্কৃতি ২. শাস্ত্রীয় সংস্কৃতি ৩. রাখাইন সংস্কৃতি
লোক সংস্কৃতি: এক সময়ে সমৃদ্ধ উপকূলীয় অঞ্চলে ছিল মাঠ ভরা ধান, নদী-সাগরে মাছ, গরু-মহিষের দুধ, তাঁতের শাড়ি, ঘানির তৈল, মাড়াই কলে আখের গুড়সহ বিচিত্র প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যে ভরপুর ছিল এই অঞ্চল। সৌভাগ্য ছিল ঘরে ঘরে। তবে অভাব অভিযোগ না থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি ছিল নিত্যসঙ্গী। অধিকাংশ মানুষের মধ্যে ছিল লোক সংস্কৃতিরচর্চা। আর এই লোক সংস্কৃতির বিষয়বস্ত্ত ছিল সুখ-সমৃদ্ধি আর প্রাকৃতিক দুর্যোগকে কেন্দ্র করে। লোক সংগীতে এলাকার মানুষের সহজ-সরল প্রকৃতি এবং আদর আপ্যায়নের চিত্রও ফুটে ওঠে। যেমন : একটি গান :
মোগো মেজাজ নাহি গরম, ব্যাবাক্কে মিল্লা কয়,
মোগো মেজাজ নাহি করা, হগলড্ডি মিল্লা কয়
আদর আস্তিক ভালই জানি, কতা হেইডা মিত্যা নয় ।
শাস্ত্রীয় সংস্কৃতি : এ জেলার মানুষ উন্নয়ন কর্মকান্ডের সাথে নাট্য ও সাংস্কৃতিক চর্চাও করে থাকে । নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য রয়েছে : উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, খেলাঘর, গ্রাম থিয়েটার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, লোক সংগীত শিল্পী গোষ্ঠী , রবীন্দ্র সংগীত পরিষদ, নজরুল সংগীত পরিষদ ইত্যাদি। এ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর কর্মসূচি এ দিকে যেমন বিনোদনমূলক, অন্যদিকে মানবিক মূল্যবোধ ও দেশাত্ববোধ সৃষ্টিতে সহায়তা করে।
রাখাইন সংস্কৃতি: মূলত: বরগুনা জেলার দক্ষিণ অঞ্চলে মঙ্গলিয় গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত রাখাইন সম্প্রদায়ের বসবাস। বাঙ্গালী সংস্কৃতির সাথে রাখাইন সংস্কৃতির মিশ্রণ সমৃদ্ধ করেছেএ অঞ্চলের সংস্কৃতিকে । রাখাইনদের নিজস্ব উৎপাদন ব্যবস্থায় রয়েছে বৈচিত্রময় কুঠির শিল্প, কৃষি কাজ, শূকরসহ পশু পালন । একই সাথে সামাজিক অনুষ্ঠানাদির মধ্যে রয়েছে জলক্রীড়া, ফানুস ছোড়া, পিঠা উৎসব । রাখাইনদের অন্যতম অনুষ্ঠান বাঘ শিকার, প্রেমময় নৃত্যানুষ্ঠান কিন্নর নাচ, রাক্ষস নাচ, বানর নাচ ইত্যাদি।তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে -গৌতম বৌদ্ধের জন্ম বার্ষিকী পালন, মাঘী পূর্ণিমা, বৈশাখী পূর্ণিমা, রাস উৎসব ইত্যাদি ।
বরগুনা জেলার অর্থনীতি
বরগুনা (barguna) এর অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। প্রধান শস্য ধান, চিনাবাদাম,সরিষা,সূর্যমুখী ও বিভিন্ন ধরনের ডাল। একসময় পাট চাষ হত, কিন্তু তা অর্থকারী ফসল হিসেবে জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলে। উপকূলবর্তী জেলা হওয়ায়, বরগুনার অনেকেই জেলের কাজ করে।
বরগুনা জেলার নদ-নদী
বলতে গেলে বরগুনার ভূকন্ডটির চারপাশে ঘিরে আছে অসংখ্য নদ-নদী আর খাল। পদ্মা, মেঘনা, আড়িয়াল খাঁ ও মধূমতি নদীর অববাহিকায় অবিস্থিত হচ্ছে বরগুনা জেলা। বরগুনার প্রকৃতি নদী আর সাগর নির্ভর। জেলার প্রধান নদ-নদী হচ্ছে পায়রা, বিষখালী, বলেশ্বর ও হরিণঘাটা। এছাড়া খাকদোন, টিয়াখালী নদী, টিয়াখালী দোন, বগীরখাল, বেহুলা নদী, চাকামা্ইয়া দোন, নিদ্রাখাল, আমতলী নদী ইত্যাদি জেলার প্রধান নদী ও খাল। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ৩০০ টি প্রাকৃতিক খাল রয়েছে। এ জেলায় মোট ১৬০ বর্গ কিলোমিটার নদী রয়েছে যা জেলার মোট আয়তনের ২২ ভাগ।
বিখ্যাত খাবার
বরগুনার বিখ্যাত খাবার -চুইয়া পিঠা, চ্যাবা পিঠা, মুইট্টা পিঠা, আল্লান, বিসকি, তালের মোরব্বা, শিরনি, নাড়িকেলের সুরুয়া, চালের রুটি, মাছ, মিষ্টি।
চিত্তাকর্ষক স্থান
- বেতাগীতে বিবি চিনি মসজিদ (মোঘল আমলে স্হাপিত। ধারনা করা হয় চিনি বিবির নামে এলাকার নামকরন করা হয় বিবি চিনি। স্হানীয় পার্যায়ে আলোচনা আছে ঢাকার লালবাগের কেল্লায় শায়িত পরী বিবির বোন তিনি।)
- তালতলীর বৌদ্ধ মন্দির ও বৌদ্ধ একাডেমী।
- পাথরঘাটারহড়িণঘাটার লালদিয়া সমুদ্রসৈকত
- সোনাকাটা সমুদ্র সৈকতও সোনাকাটা ইকোপার্ক
- ফাতরার বন
- বিহঙ্গ দ্বীপ বা ধানসিড় চর
- শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত, নলবুনিয়া, তালতলী।
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব
- শাহজাদা আবদুল মালেক খান
- অধ্যাপকমোহাম্মদ আখতারুজ্জামান (উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
বিঃদ্রঃ এখানে দেওয়া সকল তথ্য ইন্টারনেট এর বিভিন্ন তথ্যমূলক ওয়েবসাইট ও স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে সংগ্রহ করে দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো তথ্যে ভুল থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সঠিক তথ্য দিয়ে ভুল টা সংশোধন করার জন্য আমাদের সাহায্য করবেন এবং এই তথ্য টি পরে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে তথ্যটি শেয়ার করবেন ।